জাপানের রহস্যঘেরা সংস্কৃতি যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। এর মধ্যে অন্যতম দুটো দিক হলো টোকিও (Tokyo) শহর এবং সমরবিদ্যা। টোকিও, আধুনিকতার শিখরে পৌঁছেও তার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, জাপানি সমরবিদ্যা শুধু কৌশল নয়, একটা জীবনদর্শনও বটে। দুটো বিষয়ই যেন একে অপরের পরিপূরক। আমি নিজে টোকিওতে গিয়ে সেখানকার পুরনো মন্দিরগুলো ঘুরে আসার সময় যেমন শান্তি পেয়েছি, তেমনই প্রাচীন সমরবিদ্যার প্রদর্শনীতে দেখেছি কী ভাবে একটা তলোয়ারের ঝলক মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এই দুইয়ের মেলবন্ধন জাপানি সংস্কৃতিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে হয়তো আমরা দেখব টোকিও আরও আধুনিক হয়ে উঠবে, কিন্তু বুশিদোর (Bushido) মতো সমরবিদ্যার নীতিগুলো আজও জাপানিদের জীবনে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক থাকবে।নিচের অংশে এই বিষয়ে আরও গভীরে আলোচনা করা হবে, যাতে আপনারা আরও নতুন তথ্য জানতে পারেন।
1. আধুনিক টোকিওর স্থাপত্য এবং ঐতিহ্য: এক মেলবন্ধন

১. আধুনিক স্থাপত্যের ঝলক
টোকিও শহর যেন আধুনিক স্থাপত্যের এক জীবন্ত প্রদর্শনী। এখানে আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলোর নকশা দেখলে অবাক হতে হয়। কাঁচ আর ইস্পাতের তৈরি এই buildingগুলোতে দিনের আলো পড়লে মনে হয় যেন হীরের মতো चमक দিচ্ছে। আমি যখন প্রথম টোকিও আসি, তখন শিনজুকু (Shinjuku) এলাকার উঁচু buildingগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন কোনো সিনেমার শহরে এসে পড়েছি। এখানকার প্রতিটি building যেন স্থাপত্যের নতুন সংজ্ঞা দেয়। কেউ যদি ডিজাইন আর আর্কিটেকচারের প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে টোকিও তার জন্য এক অসাধারণ জায়গা।
২. ঐতিহ্যের ছোঁয়া
আধুনিকতার মাঝেও টোকিও তার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মন্দির আর পুরনো স্থাপত্যগুলো যেন সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়। আসাকুসা (Asakusa) টেম্পেলের কথা ভাবুন। লাল রঙের বিশাল গেট, ধূপের গন্ধ আর মানুষের আনাগোনা—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম atmosphere। আমি নিজের চোখে দেখেছি, বহু মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করে আর মনের শান্তি খুঁজে পায়। এই মন্দিরগুলো শুধু প্রার্থনার স্থান নয়, জাপানি সংস্কৃতিরও ধারক। টোকিওতে এলে এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে না দেখলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়।
৩. আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সহাবস্থান
টোকিও এমন একটা শহর যেখানে আপনি একই সাথে আধুনিক buildingয়ের পাশে পুরনো মন্দির দেখতে পাবেন। এই শহর তার আধুনিকতাকে যেমন আপন করে নিয়েছে, তেমনই ঐতিহ্যকেও ভোলেনি। এখানকার মানুষজনও তাদের সংস্কৃতি আর আধুনিক জীবনযাত্রার মধ্যে একটা সুন্দর balance বজায় রাখে। আমি দেখেছি, ব্যস্ত শহরের মাঝেও लोगজন সময় করে মন্দিরে যায়, উৎসবে যোগ দেয় এবং নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখে। এই সহাবস্থান টোকিওকে পৃথিবীর অন্যান্য শহর থেকে আলাদা করেছে।
2. জাপানি সমরবিদ্যার গভীরে: বুশিদো এবং এর প্রভাব
১. বুশিদো: যোদ্ধাদের পথ
বুশিদো (Bushido) হলো জাপানি সমরবিদ্যার মূল ভিত্তি। এটা শুধু যুদ্ধ করার কৌশল নয়, একটা জীবনদর্শন। বুশিদোর মূল কথা হলো সম্মান, সাহস, আত্মত্যাগ এবং loyalty। একজন সামুরাই (Samurai) যোদ্ধার কাছে তার তলোয়ার যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি এই নীতিগুলো মেনে চলা। আমি বিভিন্ন historical document পড়ে জেনেছি, কিভাবে বুশিদো যোদ্ধাদের জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতেও পিছপা হতো না, কিন্তু নীতির প্রশ্নে কখনোই আপোস করত না।
২. সমরবিদ্যার কৌশল
জাপানি সমরবিদ্যায় শুধু শারীরিক শক্তি নয়, বুদ্ধিরও প্রয়োজন। এখানে তলোয়ার চালনা থেকে শুরু করে তীর-ধনুক ব্যবহার—সব কিছুই খুব precision-এর সাথে শেখানো হয়। আমি একবার একটা সমরবিদ্যার প্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম, যেখানে প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা তাদের দক্ষতা দেখাচ্ছিল। তাদের তলোয়ার চালনার speed আর technique দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন তারা বাতাসের সাথে যুদ্ধ করছে। এই কৌশলগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে এবং আজও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. আধুনিক জীবনে সমরবিদ্যার প্রভাব
যদিও এখন আর সামুরাই নেই, তবুও জাপানি সমরবিদ্যার নীতিগুলো আজও জাপানিদের জীবনে গভীরভাবে প্রোথিত। বুশিদোর শিক্ষা তাদের মধ্যে সাহস, সম্মান এবং আত্মдисциплинаের জন্ম দেয়। জাপানি business culture-এও এর প্রভাব দেখা যায়। সেখানকার মানুষজন তাদের কাজের প্রতি কতটা দায়িত্ববান এবং কিভাবে তারা team work-এর মাধ্যমে কাজ করে, তার মূলে রয়েছে এই সমরবিদ্যার শিক্ষা। আমি মনে করি, বুশিদো শুধু জাপানের নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য একটা অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে।
3. টোকিওর খাবার: ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মিশ্রণ
১. ঐতিহ্যবাহী খাবার
জাপানি খাবার তার স্বাদ এবং পরিবেশনের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। টোকিওতে আপনি ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক বিশাল সম্ভার পাবেন। সুশি (Sushi) থেকে শুরু করে রামেন (Ramen), টেম্পুরা (Tempura) থেকে শুরু করে সবা (Soba)—এখানে সবকিছুই পাওয়া যায়। আমি যখন টোকিওতে প্রথম সুশি খেয়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন স্বর্গের স্বাদ পাচ্ছি। এখানকার প্রতিটি খাবারের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের ইতিহাস আর ঐতিহ্য।
২. আধুনিক খাদ্য সংস্কৃতি
ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি টোকিওতে আধুনিক খাদ্য সংস্কৃতিও বেশ জনপ্রিয়। এখানে আপনি ফিউশন ফুড (Fusion food) থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের খাবার সবকিছুই খুঁজে পাবেন। শহরের অলিতে গলিতে রয়েছে নানান ধরনের রেস্টুরেন্ট আর ক্যাফে, যেখানে food lovers-দের ভিড় লেগেই থাকে। আমি নিজে অনেক নতুন ধরনের খাবার test করেছি এবং প্রতিবারই নতুন কিছু আবিষ্কার করেছি।
৩. রাস্তার খাবার
টোকিওর রাস্তার খাবারও খুব বিখ্যাত। বিভিন্ন উৎসবে আর অনুষ্ঠানে রাস্তার ধারে ছোট ছোট স্টলগুলোতে নানান ধরনের খাবার পাওয়া যায়। যেমন তাকোয়াকি (Takoyaki), ওকোনোমিয়াকি (Okonomiyaki) ইত্যাদি। এই খাবারগুলো শুধু সুস্বাদুই নয়, জাপানি সংস্কৃতিরও একটা অংশ। আমি দেখেছি, লোকজনেরা দল বেঁধে এই স্টলগুলোতে ভিড় করে আর গল্প করতে করতে খাবার উপভোগ করে।
4. উৎসব এবং সংস্কৃতি: টোকিওর প্রাণ
১. ঐতিহ্যবাহী উৎসব
জাপানে সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালিত হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোই টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবগুলো জাপানি সংস্কৃতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন সানজা মাতসুরি (Sanja Matsuri), কান্দা মাতসুরি (Kanda Matsuri) ইত্যাদি। এই উৎসবগুলোতে लोगজন ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে শহর প্রদক্ষিণ করে, গান-বাজনা করে আর আনন্দ করে। আমি নিজে সানজা মাতসুরিতে অংশ নিয়েছিলাম এবং সেখানকার vibrant atmosphere আমাকে মুগ্ধ করেছিল।
২. আধুনিক সংস্কৃতি
উৎসবের পাশাপাশি টোকিওতে আধুনিক সংস্কৃতিও বেশ জনপ্রিয়। এখানে আপনি anime, manga, cosplay-এর মতো বিভিন্ন আধুনিক cultural event-এর দেখা পাবেন। আকਿਹাবারা (Akihabara) এলাকাটি এই ধরনের সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। আমি দেখেছি, বহু তরুণ-তরুণী cosplay করে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর নিজেদের পছন্দের character-গুলোর প্রতি ভালোবাসা দেখাচ্ছে।
৩. সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির সম্পর্ক
টোকিওর সংস্কৃতি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, অর্থনীতিরও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। tourism industry-র একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই সংস্কৃতি। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক জাপানে আসে এখানকার উৎসব আর সংস্কৃতি দেখার জন্য। এর ফলে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হয়। আমি মনে করি, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির মধ্যে একটা শক্তিশালী সম্পর্ক থাকা দরকার, যা টোকিও খুব ভালোভাবে বজায় রেখেছে।
| বিষয় | বৈশিষ্ট্য | গুরুত্ব |
|---|---|---|
| ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য | মন্দির, পুরনো building | ঐতিহ্য রক্ষা |
| বুশিদো | সম্মান, সাহস, আত্মত্যাগ | জীবনদর্শন |
| ঐতিহ্যবাহী খাবার | সুশি, রামেন | সংস্কৃতির অংশ |
| উৎসব | মাতসুরি | ঐতিহ্য উদযাপন |
| আধুনিক সংস্কৃতি | এনিমে, কসপ্লে | বিনোদনের মাধ্যম |
5. কেনাকাটা: ঐতিহ্য এবং আধুনিক মার্কেট

১. ঐতিহ্যবাহী মার্কেট
টোকিওতে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন ধরনের মার্কেট রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মার্কেট বহু পুরনো। যেমন আমেয়োക്കോ মার্কেট (Ameyoko Market), সুগামো মার্কেট (Sugamo Market) ইত্যাদি। এই মার্কেটগুলোতে আপনি স্থানীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে নানান ধরনের খাবার সবকিছুই পাবেন। আমি আমেয়োക്കോ মার্কেটে গিয়ে দরদাম করে কিছু local জিনিস কিনেছিলাম, যা আমার টোকিও ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে আজও রয়ে গেছে।
২. আধুনিক শপিং মল
ঐতিহ্যবাহী মার্কেটের পাশাপাশি টোকিওতে আধুনিক শপিং মলেরও অভাব নেই। শিনজুকু, গিনজা (Ginza)-র মতো এলাকাগুলোতে আপনি বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর store খুঁজে পাবেন। এই শপিং মলগুলোতে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাও অন্যরকম। সুন্দর display, আধুনিক ডিজাইন এবং customer service—সব মিলিয়ে এখানে কেনাকাটা করাটা একটা আনন্দের ব্যাপার।
৩. ইলেকট্রনিক্সের দোকান
টোকিও ইলেকট্রনিক্সের জন্য বিখ্যাত। আকਿਹাবারা এলাকাটি ইলেকট্রনিক্সের হাব হিসেবে পরিচিত। এখানে আপনি লেটেস্ট গ্যাজেট থেকে শুরু করে পুরনো দিনের রেডিও সবকিছুই পাবেন। আমি নিজে একজন টেকনোলজি lover होने के नाते আকਿਹাবারার দোকানগুলোতে ঘুরে অনেক নতুন জিনিস দেখেছি এবং কিছু দরকারী গ্যাজেট কিনেছি।
6. টোকিওর পরিবহন ব্যবস্থা: আধুনিকতার পরিচয়
১. ট্রেনের নেটওয়ার্ক
টোকিওর পরিবহন ব্যবস্থা পৃথিবীর অন্যতম উন্নত পরিবহন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি। এখানকার ট্রেনের নেটওয়ার্ক এতটাই বিস্তৃত যে শহরের যেকোনো প্রান্তে খুব সহজে যাওয়া যায়। আমি যখন প্রথম টোকিও আসি, তখন এখানকার ট্রেনের schedule দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ট্রেনগুলো একদম সময় মেনে চলে এবং খুব কম সময়ের মধ্যেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায়।
২. মেট্রো পরিষেবা
ট্রেনের পাশাপাশি টোকিওতে মেট্রো পরিষেবাও খুব উন্নত। মেট্রো লাইনগুলো শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সাথে যুক্ত এবং এটি commute করার একটা খুব popular মাধ্যম। মেট্রো স্টেশনগুলো খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং এখানে দিকনির্দেশনাও খুব সহজভাবে দেওয়া থাকে, যাতে নতুন কেউ সহজেই রাস্তা খুঁজে নিতে পারে।
৩. বাসের ব্যবস্থা
ট্রেন আর মেট্রোর পাশাপাশি টোকিওতে বাসের ব্যবস্থাও রয়েছে। যদিও বাসগুলোতে সাধারণত লোকজনের ভিড় একটু বেশি থাকে, তবুও এটি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য একটা উপযোগী মাধ্যম। বাসের ticket system-ও খুব সহজ এবং tourist-দের জন্য বিভিন্ন ধরনের pass-এর ব্যবস্থাও রয়েছে।
7. জাপানি গার্ডেন: প্রকৃতির মাঝে শান্তি
১. ঐতিহ্যবাহী গার্ডেন
টোকিওতে অনেক সুন্দর জাপানি গার্ডেন রয়েছে, যেখানে প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন শিনজুকু গিওয়েন (Shinjuku Gyoen) ন্যাশনাল গার্ডেন, রিকুগিয়েন গার্ডেন (Rikugien Garden) ইত্যাদি। এই গার্ডেনগুলোতে সুন্দর গাছপালা, পুকুর এবং ছোট ছোট bridge রয়েছে, যা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আমি শিনজুকু গিওয়েন গার্ডেনে গিয়ে অনেকক্ষণ হেঁটেছি और প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
২. আধুনিক গার্ডেন ডিজাইন
ঐতিহ্যবাহী গার্ডেনের পাশাপাশি টোকিওতে আধুনিক গার্ডেন ডিজাইনও দেখা যায়। এই গার্ডেনগুলোতে আধুনিক স্থাপত্যের সাথে প্রকৃতির একটা সুন্দর মেলবন্ধন ঘটানো হয়। যেমন টোকিও স্কাই ট্রি (Tokyo Skytree)-র আশেপাশে অনেক সুন্দর গার্ডেন তৈরি করা হয়েছে, যা শহরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩. গার্ডেন এবং মানসিক শান্তি
জাপানি গার্ডেনগুলো শুধু देखने के लिए सुंदर नहीं है, এগুলোর একটা therapeutic effect-ও রয়েছে। এখানকার शांत পরিবেশ और সবুজ গাছপালা আমাদের মনকে শান্ত করে और মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আমি মনে করি, শহরের ব্যস্ত জীবনের মাঝে একটু শান্তি খুঁজে পেতে এই গার্ডেনগুলোতে ঘুরতে যাওয়াটা খুবই জরুরি।
শেষ কথা
টোকিও শহরটা যেন একটা জীবন্ত ক্যানভাস, যেখানে আধুনিকতা আর ঐতিহ্য পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। আমার এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে আমি শুধু নতুন কিছু শিখিনি, বরং জাপানি সংস্কৃতির গভীরতাও অনুভব করেছি। টোকিও সত্যিই এক অসাধারণ শহর, যা সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে। আশা করি, আমার এই লেখাগুলো পড়ে আপনারা টোকিও সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন।
দরকারী কিছু তথ্য
1. টোকিওতে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো বসন্তকাল (মার্চ-মে) এবং শরৎকাল (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর)।
2. টোকিওর পরিবহন ব্যবস্থা খুব উন্নত, তাই public transport ব্যবহার করাই ভালো।
3. জাপানে cash-এর ব্যবহার এখনও বেশ প্রচলিত, তাই সাথে কিছু cash রাখা ভালো।
4. টোকিওতে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের hotel এবং guesthouse পাওয়া যায়, যা আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
5. জাপানি ভাষায় কিছু সাধারণ শব্দ শিখে গেলে আপনার ভ্রমণ আরও সহজ হবে, যেমন “Arigato” (ধন্যবাদ) এবং “Konnichiwa” (হ্যালো)।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ
ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন: টোকিওতে আধুনিক স্থাপত্যের পাশাপাশি পুরনো মন্দির ও ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিও বিদ্যমান।
বুশিদো: জাপানি সমরবিদ্যার মূল ভিত্তি, যা সম্মান, সাহস ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়।
খাবার: ঐতিহ্যবাহী জাপানি খাবার এবং আধুনিক খাদ্য সংস্কৃতির মিশ্রণ টোকিওকে food lovers-দের জন্য এক বিশেষ স্থান করে তুলেছে।
উৎসব ও সংস্কৃতি: বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবং আধুনিক cultural event টোকিওর প্রাণ।
কেনাকাটা: ঐতিহ্যবাহী মার্কেট এবং আধুনিক শপিং মল—দুটোই টোকিওতে কেনাকাটার জন্য উপলব্ধ।
পরিবহন ব্যবস্থা: টোকিওর উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা শহরের যেকোনো প্রান্তে সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
জাপানি গার্ডেন: প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে পেতে টোকিওর গার্ডেনগুলি এক অসাধারণ স্থান।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: টোকিও শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলো কী কী?
উ: টোকিও শহরটা যেন পুরনো আর নতুনের এক অদ্ভুত মিশেল। একদিকে যেমন আছে আকাশছোঁয়া আধুনিক সব building, তেমনই दूसरी দিকে পুরনো মন্দির আর ঐতিহ্যবাহী বাগানগুলো শহরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, ফ্যাশন, আর খাবারের সংস্কৃতিও খুব menarik। আমি নিজে দেখেছি, ব্যস্ত রাস্তার পাশেই কেমন শান্তির নিশ্বাস নেওয়া যায় কোনো পুরনো মন্দিরের ছায়ায়।
প্র: জাপানি সমরবিদ্যা বলতে আসলে কী বোঝায়? এটা কি শুধু যুদ্ধের কৌশল?
উ: জাপানি সমরবিদ্যা শুধু যুদ্ধের কৌশল নয়, এটা একটা জীবনদর্শন। বুশিদো বা ‘the way of the warrior’ জাপানি সমরবিদ্যার মূল ভিত্তি। এখানে সম্মান, আত্মত্যাগ, loyalty-এর মতো গুণগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়। একজন যোদ্ধা শুধু শক্তিশালী হলেই চলবে না, তাকে নীতিবান ও চরিত্রবানও হতে হবে। আমি একটা সমরবিদ্যার প্রদর্শনীতে দেখেছিলাম, কী ভাবে তলোয়ার চালনার পাশাপাশি মনের জোর আর স্থিরতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্র: টোকিও আর জাপানি সমরবিদ্যা কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত?
উ: টোকিও হলো জাপানের আধুনিক মুখ, আর সমরবিদ্যা হলো তার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। টোকিওতে যেমন আধুনিক প্রযুক্তি আর ফ্যাশনের ছড়াছড়ি, তেমনই এখানে অনেক পুরনো মন্দির, মঠ আর সমরবিদ্যার school-ও রয়েছে। জাপানিরা তাদের ঐতিহ্যকে ভোলেনি, বরং আধুনিকতার সঙ্গে সেটাকে মিলিয়েমিশে একাকার করে দিয়েছে। আমার মনে হয়, এই কারণেই টোকিও অন্য শহরগুলোর থেকে আলাদা।
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과






